বাতাস কেন গরম (একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা)
দৃশ্য-১
নায়িকার বাবা : তোর এত বড় সাহস। তুই আমার মেয়ের দিকে হাত বাড়াস। তুই জানিস, আমার মেয়ে এই ভয়াবহ গরমে এসি ছেড়ে ঘুমায়। এসি গাড়িতে ঘোরে। এসি ছেড়ে গোসল করে। তোর কী আছে? যেদিন গরমকে ঠাণ্ডা করতে এসি কিনতে পারবি, সেদিন আসবি। চলে যা এখান থেকে।
নায়ক : চৌধুরী সাহেব, টাকা দিয়ে গরমকে আপনি ঠাণ্ডা করে দিতে পারবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, টাকা দিয়ে আপনি ভালোবাসাকে ঠাণ্ডা করতে পারবেন না।
আমার ভালোবাসা সত্যি হলে একদিন আমি লাইলিকে পাবই পাব। গুডবাই চৌধুরী সাহেব।
দৃশ্য-২
ভিলেন : কী গো লাইলি, এই গরমে শর্টকাট ড্রেস পরে কোথায় যাচ্ছ। গরম লাগছে বুঝি। চলো আজ তোমাকে ঠাণ্ডা করে দিই।
নায়িকা : বাঁচাও। বাঁচাও। মজনু...নু...নু...নু...উ
নায়ক : ইয়ালি...ঢিসুম...ইয়া টিসা টিসা।
দৃশ্য-৩
নায়ক : মা। মা। আমি গরমকে ঠাণ্ডা করে দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি মা। আজ আমি বড় একটা চাকরি পেয়ে গেছি মা। আজ আমি এসি কিনে এনেছি।
নায়কের মা : তোর বাবা বেঁচে থাকলে আজ খুব খুশি হতো। তার স্বপ্ন ছিল, তুই একদিন গরমকে ঠাণ্ডা করে দেওয়ার মতো যোগ্যতা অর্জন করবি। তুই তোর বাবার স্বপ্ন পূরণ করেছিস। এবার আমি মা হয়ে তোকে আদেশ করছি, যে চৌধুরীর গরমকে ঠাণ্ডা করে দেওয়ার মতো টাকা নেই বলে তোকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিল, তাকে বলে আয় তুইও এখন তার সমান যোগ্যতা অর্জন করেছিস। যা।
দৃশ্য-৪
নায়ক : চৌধুরী সাহেব, আমরা গরিব হতে পারি; কিন্তু আমরাও গরমকে ঠাণ্ডা করে দিতে এসি কেনার সামর্থ্য অর্জন করতে পারি। আজ আপনার বাড়িতে যে এসি আছে, আমার বাড়িতেও সেই এসি আছে। আপনি আর আমি আজ সমানে সমান।
নায়িকা : ড্যাড, তুমিই তো বলেছিলে, মজনু এসি কেনার সামর্থ্য অর্জন করতে পারলে তার হাতে আমাকে তুলে দেবে। তুমি তোমার কথা রক্ষা করো ড্যাড।
নায়িকার বাবা : হেরে গেলাম রে, হেরে গেলাম। তোদের ভালোবাসার গরমের কাছে আমি হেরে গেলাম। যাও মজনু, তোমার লাইলিকে নিয়ে যাও। আজ তোমাকে কোনো বাধা দেব না। আমার মেয়ে এখন তোমার ঘরেও এসিতে থাকবে। এই গরমে এটা আমাকে নিশ্চিন্ত করবে।
মজা পেলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
বাতাস কেন গরম (একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা)
Reviewed by Unknown
on
00:40
Rating:
Reviewed by Unknown
on
00:40
Rating:

No comments: