Top Ad unit 728 × 90

Breaking News

Technology

MS Word 2007 - এর ধারাবাহিক টিউটোরিয়াল (পর্ব - ৪ )


বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভালো আছেন। ৪র্থ পর্বে স্বাগতম জানাচ্ছি সবাইকে আমি আরিফুল ইসলাম অভি। আপনারা হয়তোবা খেয়াল করবেন মাঝে মধ্যে  আমি অনেকসময় টিউটোরিয়াল গুলোতে কিছু কিছু অপশন বাদ দিয়ে যাচ্ছি, কারণ আমি মনে করি সবই যদি টিউটোরিয়াল দেখে শেখেন, তাহলে শেখাটা পরিপূর্ণ হবে না। তাই আমি যথাসম্ভব চেষ্টা করছি প্রয়োজনীয় অংশগুলো কভার করার। আশা করি আমি যে অপশনগুলো বাদ দিয়ে যাচ্ছি সেগুলো নিয়ে কোর্স শেষে আলোচনা করব , এর মাঝে আপনারা সেগুলো নিজ দায়িত্বে দেখে নিবেন। আর সমস্যা হলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন।

গত পর্বে আমরা ফন্ট টুলস নিয়ে কাজ করেছি। এই পর্বে বাকি টুলস গুলো নিয়ে কাজ করব। শুরুতেই আমরা Home Tab এর Underএর Paragraph related toolbar এর সাথে পরিচিত হব। ছবি লক্ষ্য করুন।



উপরের ছবিতে কোন টুলস এর কি নাম তা সবই দেয়া আছে। এখন নিচে এই টুলসগুলোর কাজ কি ও কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা দেয়া হল। একটা কথা আগেও বলছি এখন আবারো বলছি, আপনারা যদি বিভিন্ন টুলস এর Icon গুলোর দিকে খেয়াল করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে, আইকোন এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে, যাতে আপনি icon দেখলেই ঐ টুলস এর কাজগুলো বুঝতে পারেন। উপরের ছবির বুলেট পয়েন্টের আইকন ভালভাবে দেখুন তাহলে দেখবেন প্রথম আইকনে ৩টা ফোটা দেয়া তারপর ৩টা লাইন আছে, তার অর্থ আমরা যদি কোন লাইন কোন বিশেষ চিহ্ন দ্বারা লিখতে চাই। আবার Alignment আইকনে দেখুন একটার বামপাশ সমান, একটার ডানপাশ সমান আর মিডল এ্যালাইনমেন্টে লাইন এর দুই পাশে সমপরিমান ফাকা জায়গা থাকে।

Bullet Point: কোন বিশেষ চিহ্ন দ্বারা কোন বাক্য লিখতে চাইলে বা পয়েন্ট আকারে কোন বাক্য লিখতে হলে। Bullet point ব্যবহার করা যায়। নাম্বার দ্বারাও বুলেট পয়েন্টে দেয়া যায়। এটা ব্যবহার করার জন্য প্রথমে এই আইকনে ক্লিক করতে হয়, প্রথম লাইন শেষে Enter চাপ দিলে পরবর্তী লাইন ও বুলেট পয়েন্ট দিয়ে শুরু হবে। আর পরপর ২বার Enter press করলে। বুলেট পয়েন্ট শেষ হয়ে যায়। আবার বুলেট পয়েন্টের লেখার মধ্যে যদি বুলেট ছাড়া কোন লাইন লিখতে হয় , তাহলে সাধারণত Shift+Enter একসাথে চাপতে হয়।

Indent: পুরো para ধরে ডানে অথবা বামে সরানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

Alignment: ডানে, বামে ও মাঝে এ্যালাইমেন্ট করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

Line & Character spacing: পরপর দুই লাইন অথবা দুইটা শব্দএর মাঝে কতটুকু ফাকা জায়গা থাকবে, তা নিধারণ করা হয়।

Background color & Border: প্রথমে যে লেখার ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করতে চান। তা সিলেক্ট করুন। তারপর কালার পরিবর্তন করে দিন। অনুরূপভাবে লেখার Border ও চেঞ্জ করতে পারেন। উদাহরণ স্বরূপ ছবি লক্ষ্য করতে পারেন।

এবারআমি আপনাদের সাথে Clipboard, EditingStyle এর টুলস গুলো নিয়ে আলোচনা করব। এই টুলগুলো সরাসরি লেখালেখির ক্ষেত্রে তেমন একটা কাজে লাগেনা, কিন্তু আপনি যদি এই টুলগুলো সুন্দর ভাবে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনাদের কাজ অনেক কমে যাবে।


Cut > এটা দিয়ে সাধারনত যে কোন লেখা একস্থান থেকে অন্যস্থানে কাট করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর কিবোর্ড কমান্ড (Ctrl + X)। (অফটপিক: এটার কিবোর্ড কমান্ড কিন্তু হওয়া উচিৎ ছিল Ctrl+C কিন্তু তা না হয়ে Ctrl+X হয়েছে। যদি মনে থাকে তাহলে দেখবেন Ctrl+C কিবোর্ড কমান্ডটি আগেই Copy দখল করে বসে আছে। যেহেতু, একই কিবোর্ড কমান্ড হতে পারেনা, তাই Ctrl+X হয়েছে। আবার লক্ষ করুন সাধারনত আমরা কাটাকাটি কাঁচি দিয়ে করি, কাঁচি কিন্তু দেখতে একদম ইংরাজী অক্ষর X এর মত দেখতে, তাই এর কিবোর্ড কমান্ড Ctrl+X হয়েছে। ভাবতেই অবাক লাগে যে, কিবোর্ড কমান্ডগুলো এত সুন্দর system অনুযায়ী হয়েছে যে, প্রয়োজনীয় কিবোর্ড কমান্ড গুলো এমনিই মনে থাকে। )


Copy > এটা দিয়ে যে কোন লেখা একস্থান থেকে অন্য স্থানে Duplicate করা হয়। keyboard কমান্ড Ctrl+C


Paste > এটা দিয়ে Cut/Copy করা কোন লেখা কোন নির্দিষ্ট স্থানে Paste বা রাখা যায়। এর কিবোর্ড কমান্ড Ctrl+V। (অফটপিক: এখানে এর প্রথম অক্ষর P হওয়া সত্ত্বেও এর কিবোর্ড কমান্ড কিন্তু Ctrl+P না কারণ Ctrl+P তে Print নামক খুবই প্রয়োজনীয় কিবোর্ড কমান্ড দেয়া আছে। দেখুন কিবোর্ড এর X, C এর পরের অক্ষরটাই Vএটা এদের পরে দেওয়াতে আমরা কিবোর্ড থেকে আঙ্গুল না সরিয়েই খুব সহজে এই অপশনটা execute করতে পারব।

এটা দেখুন Ctrl+p তে দেয়া থাকলে আমাদের হাত উঠিয়ে তারপর কমান্ডটি দিতে হতো। কি ইন্টারস্টিং না আমার কাছে কিন্তু ছোটখাট ব্যাপারগুলো খুবই ভাল লাগে। এইসব থেকে বোঝা যায় কম্পিউটার চালানো আসলে খুবই সহজ কাজ, আমরা চেষ্টা করি না তাই পারিনা।)




Format Painter > এটা দিয়ে যে কোন লেখার Style একক্লিকেই copy করা যায় যেমন ছবি লক্ষ করুন।





এবার আসা যাক Editing tools এ।  এটাও খুবই প্রয়োজনীয়।




এটা দিয়ে আমরা খুব সহজেই লেখার মধ্যে থেকে desired word টি খুজে পেতে পারি। আবার ইচ্ছা করলে একটা শব্দ পরিবর্তন করে অন্য শব্দ বসিয়ে দিতে পারি চোখের পলকেই। এর কিবোর্ড কমান্ড Ctrl+F.

যেমন আমরা যদি Digital Bangladesh Paragraph টাকে পরিবর্তন করে Digital Dhaka তে পরিবর্তন করতে চাই তাহলে প্রতিটা শব্দ আলাদা আলাদা করে পরিবর্তন না করে Replace option ব্যবহার করে একবারে এবং চোখের নিমিষেই কাজটি করতে পারি।

এটাকে আরো অনেকভাবে ব্যবহার করা যায়। এটা আপনারা বের করুন।
আপনি খেয়াল করলে দেখবেন আমাদের এখনো আমাদের এখনো Styles নামক টুলসটা বাকি আছে। এটা আসলে খুবই সোজা। ওয়ার্ডএ যে কোন কিছু লিখুন, তারপর লেখাটি সিলেক্ট করে Styles এ যান দেখবেন, আপনার লেখার ফন্ট সাইজ, কালার ইত্যাদি change হয়ে গেছে। আপনি যদি লেখা সিলেক্ট করে Heading 1 বা 2 তে ক্লিক করেন দেখবেন আপনার ওয়ার্ড ফাইলে শীরোনামের মতো হয়ে গেছে। এটার আরো একটা কাজ আছে যেটা এখন বুঝালে বুঝবেন না। কোর্স শেষে এটা বুঝালে বুঝতে পারবেন। এছাড়া আপনি Change Style এ ক্লিক করে ফন্ট স্টাইল বিভিন্ন ভাবে দিতে পারবেন। এগুলো এক দুইবার ট্রাই করলেই নিজেরা করতে পারবেন।


আজকে এখানেই ইতি টানছি। পরবর্তী পোস্ট পড়ার জন্য আমন্ত্রন থাকলো। সবাই সুস্থ থাকুন। আজ এ পর্যন্তই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

পর্ব গুলো ইবুক আকারে ডাউনলোড করুনঃ
পর্ব গুলো ভিডিও টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করুনঃ




MS Word 2007 - এর ধারাবাহিক টিউটোরিয়াল (পর্ব - ৪ ) Reviewed by Unknown on 02:27 Rating: 5

No comments:

All Rights Reserved by Ariful Islam © 2014 - 2015
Powered By Blogger, Designed by Sweetheme

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.