MS Word 2007 - এর ধারাবাহিক টিউটোরিয়াল (পর্ব - ৩ )
বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালো আছো। সবাই ভালো থাকো সেই কামনা সব সময়ই করি। যাক ইচ্ছে ছিলো এমন একটা গ্রুপ খুলব যেখানে আমরা সবাই একত্রিত হয়ে অজানা কে জানব। অর্থাৎ যেটা জানিনা সেটা জানা চেষ্টা করব। যেই প্লান সেই মতোই কাজ। তোমাদের সাপোর্ট পেয়ে নেমে পড়লাম এই কাজে।
আমাদের প্রথম টার্গেটই হচ্ছে যাদের ডেসটপ বা ল্যাপটপ থাকা স্বতেও MS Word এর কাজ জানেন না তাদের মুটামুটি হলেও MS Wordসম্পর্কে ধারণা দেওয়া। আমি নিজেও তেমন এক্সপার্ট না। তবে যতটুকু জানি ততটুকই তোমাদের মাঝে শেয়ার করতে চাই। আমরা আমরাই মিলেই তো শিখব। কি বলো বন্ধুরা। আর দেরি না করে আজকে থেকেই শুরু করলাম আমাদের কোর্স – MS Word 2007।
তবে যাই বলুন না কেন, আপনাদের নিজেদেরই কিন্তু চেষ্টা করতে হবে। আমি দেখানোর মালিক কিন্তু আপনারা যদি নিজে চেষ্টা বা টিউটোরিয়াল গুলো দেখে চেষ্টা না করেন তাহলে কখনোই শীখতে পারবেন না। আশা করি আপনারা নিজে নিজে চেষ্টা করবেন। আর এই গ্রুপে আমরা সবাই ভাই – ভাই। SO আমরা একে অপরকে অবশ্যই সহযোগিতা করব।
গত দুই পর্বে আমরা MS Word 2007 এর প্রাথমিক কাজ ও ইন্টারফেস সম্পর্কে জেনেছি। এখন থেকে আমাদের মূল কার্যক্রম শুরু হলো। আশা করি সবাই মনোযোগ দিয়ে পড়বেন এবং আমাদের
ভিডিও টিউটোরিয়াল গুলো মনোযোগ দিয়ে দেখবেন।
গত দুই পর্বে আমরা MS Word 2007 এর প্রাথমিক কাজ ও ইন্টারফেস সম্পর্কে জেনেছি। এখন থেকে আমাদের মূল কার্যক্রম শুরু হলো। আশা করি সবাই মনোযোগ দিয়ে পড়বেন এবং আমাদের
ভিডিও টিউটোরিয়াল গুলো মনোযোগ দিয়ে দেখবেন।
আমি এমনিতে একটু বক বক বেশী করি। চলুন এবার শুরু করা যাকঃ
আমাদের সর্ব প্রথমে যা করতে হবে তা হচ্ছে, আমাদের পিসিতে প্রবেশ করে MS Word 2007 রান করতে হবে। আমি ধরে নিচ্ছি যারা এই টিউটোরিয়াল পড়ছেন তাদের সবারই MS Word 2007 ইন্সটল দেওা আছে। তাই রান করতে Start অর্থাট বামে একদম নিচে যে উইন্ডোজ বাটন দেখা যাচ্ছে সেটাতে ক্লিক করুন। এবার All Programs এ ক্লিক করুন। লিস্টে দেখতে পাবেন লেখা আছে Microsoft Office এবার এটাতে ক্লিক করুন আর সেখান থেকে MS Word 2007 এ ক্লিক করে run করুন। তাহলে এরকম একটি Screen দেখতে পাবেন।
এবার আমাদের রান করা স্ক্রিনে (ছবিতে যেটা দেখা যাচ্ছে) যে টুলবারগুলো দেখছেন Home Tab, Inset, Page Layout ইত্যাদি ট্যাব গুলোর Underএ এগুলো সবই খুবই দরকারী। এখানে যে টুলবার গুলো আছে এগুলো ব্যবহার করেই আপনি ওয়ার্ড-এর প্রায় প্রয়োজনীয় সব কাজই করতে পারবেন। ধাপে ধাপে আমরা সব গুলো ট্যাব নিয়েই কাজ করব। যেহেতু প্রথমেই আছে Home Tab তাই আমরা শূরুতেই এটা নিয়েই কাজ করব। আমরা প্রথমেই এই টুলস গুলো ব্যবহার করা শিখব।
এই ট্যাবে যে টুলস গুলো আছে নিচে আমি টুলস গুলোর আলাদা করে এক একটা সেট অনুযায়ী ছবি দিয়েছি। এখানে আমাদের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় টুলস হলো Font তারপর Paragraph, Clipboard, Editing এবং সবশেষে Styles টুলবারটি। অনেকে অবশ্য আমার সাথে একমত নাও হতে পারেন।
আমরা যারা কম্পিউটারে নতুন স্বাভাবিক ভাবে আমাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে Font কি?
Font আসলে এক সেট বণমালা। সহজ ভাবে বলা যায়, ধরুন আপনার ৩জন বন্ধু আছে – ইমন, সুমন, ইরা। তাহলে আমরা সাধারণত এটা বলতে পারি যে, আপনার ৩বন্ধুর হাতের লেখা ৩রকম। কারোরটা দেখতে খারাপ, আবার কারোরটা দেখতে ভাল, আবার কারোরটা অনেক পেচানো অর্থাৎ একেকজনেরটা একেকধরনের সুন্দর। আপনার যদি সুমন এর হাতের লেখা ভালো লাগে, তাহলে আপনি কি করবেন প্রয়োজনীয় কোন কিছু লেখার সময় সুমনকে বলবেন, বন্ধু আমাকে এইটা একটু লিখে দাও। আমরা fontকে আসলে এক একজনের হাতের লেখার সাথে তুলনা করতে পারি। কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের font বা হাতের লেখা, আপনার যে fontটি ভাল লাগবে, আপনি সেই font টি ব্যবহার করবেন।
প্রথমেই Fonts toolbar টির ব্যবহার জেনে নিই। এখানে আপনারা বিভিন্ন টুলস এর আইকনের দিকে লক্ষ করলেন দেখবেন iconগুলো তাদের ব্যবহার অনুযায়ী ডিজাইন করা হয়েছে। যেমন Bold এর iconটার B একটু মোটা হরফে লেখা আছে, Italic আইকনের I টা ডানদিকে কাত করা, এভাবে আপনারা আইকন দেখেই বুঝতে পারবেন ঐ Tools এর কাজ কি ইত্যাদি।
· * পছন্দ অনুযায়ী Font নির্বাচন করুন।
· * ফন্ট সাইজ ছোট বা বড় করুন।
· * ফন্টকে বোল্ট বা হাইলাইট করুন।
· * ফন্টকে ইটালিক বা ডানদিকে হালকা কাত করে দিন।
· * ফন্টকে আন্ডারলাইন করুন।
· * ফন্ট এর মাঝবরাবর দাগ দিন।
· * ফন্টকে Subscript বা H2O এই ভাবে লিখুন।
· * ফন্টকে Superscript বা X2 এভাবে লিখুন।
* বিভিন্ন শব্দকে বড় হাতের বা ছোট হাতের অক্ষরে পরিণত করুন।
* বিভিন্ন শব্দকে বড় হাতের বা ছোট হাতের অক্ষরে পরিণত করুন।
এতক্ষণ আমরা যা যা লিখলাম সেটা Save করতে জানেন তো, না জানলে সমস্যা নেই আসুন কিভাবে Save করতে হয় তা দেখে নিই।
ছবিতে দেখানো স্থানে ক্লিক করুন অথবা সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি কি-বোর্ড থেকে Ctrl এবং S একসাথে চাপ দিন।
তারপর একটি File Name দিন ও Save এ Click করুন। একসাথে চাপ দেয়াকে সাধারণত (ctrl + S) এভাবে প্রকাশ করা হয়। কিবোর্ড কমান্ড মনে রাখার সহজ পদ্ধতি হল, আপনি যে কাজটি করতে চান তার প্রথম অক্ষর এবং সাথে Ctrl চাপতে হবে। যেমন আপনি যদি একটি New file খুলতে চান তাহলে কিবোর্ড কমান্ড কি হওয়া উচিৎ, হ্যা আপনি ঠিক ধরেছেন Ctrl+N। এরকম আরো কিছু কিবোর্ড কমান্ড নিচে দেয়া হলঃ
Ctrl+B = Bold
Ctrl+I = Italic
Ctrl+U = Underline
Font Tools এর অন্যান্য প্রয়োজনীয় কিবোর্ড কমান্ডঃ
Ctrl+ [ or ] = Font size ছোট বড়
Ctrl + ‘=’ = Subscript
Ctrl+Shift+’=’ = Superscript
তবে সমসময়ই যে এই টেকনিক কাজে লাগবে, তা বলছি না তবে অধিকাংশ সময়ই এটা কাজে লাগবে। শুধু মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে না যে কোন সফটওয়্যার এ কিবোর্ড কমান্ডগুলো এভাবে সেট করা।
পরবর্তী পোস্ট পড়ার জন্য আমন্ত্রন থাকলো। সবাই সুস্থ থাকুন। আজ এ পর্যন্তই। আমি নিজে একটু অসুস্থ। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
পর্ব গুলো ইবুক আকারে ডাউনলোড করুনঃ
পর্ব গুলো ইবুক আকারে ডাউনলোড করুনঃ
পর্ব গুলো ভিডিও টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করুনঃ
এই পর্বটি ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখুনঃ
MS Word 2007 - এর ধারাবাহিক টিউটোরিয়াল (পর্ব - ৩ )
Reviewed by Unknown
on
12:30
Rating:
Reviewed by Unknown
on
12:30
Rating:








No comments: